Menu

ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা বাংলা অর্থ একাদশ শ্রেণি সংস্কৃত

Last Updated on December 12, 2022 by বাংলা মাস্টার

 

ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা বাংলা অর্থ একাদশ শ্রেণি সংস্কৃত | Brahman Choura Pishach Katha Sanskrit Text Bengali Meaning Class XI

 
 
পণ্ডিত বিষ্ণুশর্মা রচিত ‘পঞ্চতন্ত্রে’র তৃতীয় তন্ত্র ‘কাকোলূকীয়’ তন্ত্র থেকে নেওয়া হয়েছে।
 
 

গল্পাংশ

পরস্পর বিবাদে রত শত্রুরাও সাধারণের উপকারই করে থাকে। যেমন, চোরের দ্বারা ব্রাহ্মণের জীবন এবং ব্রহ্মরাক্ষসের দ্বারা গোরু দুটির জীবন রক্ষা পেয়েছিল।

কোনো এক স্থানে দ্রোণ নামে একজন ব্রাহ্মণ বাস করত। সে বিশেষ বস্ত্র, অনুলেপন, গন্ধদ্রব্য, মালা, অলংকার, পান ইত্যাদির ভোগ থেকে বঞ্চিত ছিল। তার মাথায় চুল, দাড়ি, নখ, লোম বেড়ে গিয়েছিল। ঠাণ্ডা গরম ঝড়বৃষ্টিতে তার শরীর শীর্ণ হয়ে পড়েছিল। তার কোনো এক যজমান দয়াবশত তাকে একজোড়া বাছুর দান করেছিল। ব্রাহ্মণও তাদের বাল্যকাল থেকে ভিক্ষা করে পাওয়া ঘি, তেল, যবাদি দিয়ে হৃষ্টপুষ্ট করে তুলেছিল।

তা দেখে হঠাৎ একদিন এক চোর চিন্তা করল—“আমি এই ব্রাহ্মণের গোরু দুটি চুরি করব”। একথা স্থির করে রাত্রিতে বাঁধার দড়ি নিয়ে যখন অর্ধেক রাস্তা গিয়েছে, এমন সময় ধারালো দাঁতযুক্ত, , উঁচু নাক, টকটকে লাল চোখ, শুকনো গাল, ফুলে ওঠা শিরা, নুয়ে পড়া শরীর, আগুনের মতো চুল-দাড়ি এবং—এমন একজনকে দেখল। দেখে ভীত চোর কাঁপতে কাঁপতে জিজ্ঞাসা করল—“আপনি কে?”

আরো পড়ুন :  ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর একাদশ শ্রেণি সংস্কৃত | Brahman Choura Pishach Katha MCQ SAQ Class XI

সে বলল, “আমি সত্যবচন নামের ব্রহ্মরাক্ষস। তোমার পরিচয় দাও”। সে বলল—আমি ক্রূরকর্মা নামে এক চোর, গরিব ব্রাহ্মণের গোরু দুটি চুরি করতে চলেছি”।

একথা বিশ্বাস করে রাক্ষস বলল, “আমি ষষ্ঠ প্রহরে অর্থাৎ রাত্রিবেলা আহার করি। অতএব সেই ব্রাহ্মণকে আজ ভক্ষণ করব। এটা খুবই সুন্দর ব্যাপার। আমরা দুজনেই এক কাজে এসেছি”।

তারপর তারা দুজনে গিয়ে উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায় রইল। ব্রাহ্মণ ঘুমিয়ে পড়লে তাকে ভক্ষণের জন্য রাক্ষস গমন করলে চোর বলল, “এটি ঠিক নয়। আমি গরু দুটি চুরি করার পর তুমি এই ব্রাহ্মণকে খেও”।

আরো পড়ুন :  ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর একাদশ শ্রেণি সংস্কৃত | Brahman Choura Pishach Katha MCQ SAQ Class XI

রাক্ষস বলল, “কোনোভাবে গোরুর শব্দে ব্রাহ্মণ জেগে গেলে আমার সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হবে”।

চোর বলল—“যদি তোমার ভক্ষণের সময় কোনো বাধা আসে তবে আমি গোরুদুটি চুরি করতে পারব না। অতএব আমি গোরুদুটি চুরি করার পর ব্রাহ্মণকে তোমার ভক্ষণ করা উচিত”।

এইভাবে ‘আমি আগে ‘আমি আগে’ করে পরস্পর বিবাদে ও বিরোধের শব্দে ব্রাহ্মণ জেগে উঠল।

তারপর চোর ব্রাহ্মণকে জানাল, “হে ব্রাহ্মণ, এই রাক্ষস আপনাকে খেতে চায়”।

রাক্ষসও বলল, “এই চোর আপনার গোরুদুটিকে চুরি করতে চাইছে”।

আরো পড়ুন :  ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর একাদশ শ্রেণি সংস্কৃত | Brahman Choura Pishach Katha MCQ SAQ Class XI

এইকথা শুনে ব্রাহ্মণ সাবধানে ইষ্টদেবতার মন্ত্র দ্বারা রাক্ষসের হাত থেকে নিজেকে এবং লাঠি উঁচিয়ে চোরের কাছ থেকে গোরুদুটিকে রক্ষা করল।

 
 
 
 
 
 
——————————————–
শ্রেণিবিষয়
দ্বাদশ শ্রেণিসমস্ত বিষয়
একাদশ শ্রেণিসমস্ত বিষয়
দশম শ্রেণিসমস্ত বিষয়
নবম শ্রেণিসমস্ত বিষয়
অষ্টম শ্রেণিসমস্ত বিষয়
সপ্তম শ্রেণিসমস্ত বিষয়
ষষ্ঠ শ্রেণিসমস্ত বিষয়
পঞ্চম শ্রেণিসমস্ত বিষয়

————————————————

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!