Menu

জাদুঘর বলতে কী বোঝ? জাদুঘরের উদ্দেশ্য, কার্যাবলি ও গুরুত্ব লেখ | দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস অতীত স্মরণ | Class XII History Descriptive

Last Update : December 10, 2022

জাদুঘর বলতে কী বোঝ? জাদুঘরের উদ্দেশ্য, কার্যাবলি ও গুরুত্ব লেখ | দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস অতীত স্মরণ | Class XII History Descriptive

জাদুঘর কী—জাদুঘর বলতে সঠিক কী বোঝায় তা নিয়ে বিভিন্ন অভিমত পাওয়া যায়। সাধারণ অর্থে, জাদুঘর হল বিভিন্ন ঐতিহাসিক উপাদানের সংগ্রহশালা, যেখানে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক, শিল্প-বিষয়ক প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন সংরক্ষণ করে তা জনসাধারণের উদ্দেশ্যে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। এক কথায়, বিভিন্ন পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহ করে সেগুলি যেসব প্রতিষ্ঠান বা ভবনে সংরক্ষণ করে রাখা হয় সেসব প্রতিষ্ঠান বা ভবনকে জাদুঘর বলে।

অভিধান অনুসারে, যে-ঘরে নানা অত্যাশ্চর্য জিনিস বা প্রাচীন জিনিস সংরক্ষিত থাকে, তাই হল ‘জাদুঘর’। আরবি ‘আজায়ব্‌ ঘর’ বা ‘আজায়ব্‌ খানা’ শব্দটির সঙ্গে বাংলা ‘জাদুঘর’ শব্দটি তুলনীয়। বাংলায় ‘জাদুঘর’ শব্দটির অর্থ হল, “যে গৃহে অদ্ভুত অদ্ভুত পদার্থসমূহের সংগ্রহ আছে।“

আরো পড়ুন :  কিংবদন্তি কী? কিংবদন্তির বৈশিষ্ট্য উলেখ করে ইতিহাসের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব লেখ | দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস অতীত স্মরণ | Class XII History Descriptive

‘জাদুঘর’ শব্দের ব্যুৎপত্তি—বাংলা ‘জাদুঘর’ শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হল ‘Museum’ (মিউজিয়াম)। ‘মিউজিয়াম’ শব্দটির মূল উৎস হল প্রাচীন গ্রিক শব্দ Mouseion (মউসিয়ন), যার অর্থ হল মিউসদের মন্দির।

জাদুঘরের উদ্দেশ্য, কার্যাবলি ও গুরুত্ব

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত বিভিন্ন জাদুঘরের উদ্দেশ্যও বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। জাদুঘরের প্রধান উদ্দেশ্য ও কার্যাবলিগুলি হল—

(ক) সংগ্রহ—জাদুঘরের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ও কাজ হল দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন দুর্লভ ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহ খুঁজে বের করা এবং সেগুলি সংগ্রহ করা। হারিয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলি সংগ্রহ করে ইতিহাস রচনার দরজা খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে জাদুঘর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

(খ) সংরক্ষণ—আধুনিক জাদুঘরগুলিতে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহাসিক উপাদান সংরক্ষিত থাকে। জাদুঘরে সংরক্ষিত বিভিন্ন সংরক্ষিত জিনিসপত্র দীর্ঘস্থায়ী করতে বৈজ্ঞানিক সংরক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

আরো পড়ুন :  পেশাদারি ইতিহাস কী | অপেশাদারি ইতিহাসের সঙ্গে পেশাদারি ইতিহাসের পার্থক্য

(গ) প্রদর্শন—জাদুঘর দুর্লভ ঐতিহাসিক বস্তুসামগ্রী সাধারণ দর্শক, পাঠক, গবেষক প্রভৃতি সব ধরনের মানুষের প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে উন্মুক্ত করে দেয়। জাদুঘরে সংরক্ষিত সামগ্রীগুলি জনসাধারণকে প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ‘ডিসপ্লে কেস’-এ সাজিয়ে রাখা হয়।

(ঘ) গবেষণার কাজ—যে-কোনো মানুষের সংগ্রহ করা ঐতিহাসিক নিদর্শনই জাদুঘরে সংরক্ষিত হতে পারে। সেসব নিদর্শনগুলির প্রকৃত ইতিহাস কী তা নিয়ে যথেষ্ট গবেষণার সুযোগ করে দেওয়া জাদুঘরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ও কাজ। গবেষকদের বৃত্তি প্রদান করে জাদুঘরগুলি গবেষকদের কাজে উৎসাহ দেয়।

(ঙ) জ্ঞানের প্রসার ঘটানো—জাদুঘরের একটি প্রাথমিক উদ্দেশ্য ও কাজ হল সংগ্রহশালার বস্তুসামগ্রীর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে জ্ঞানের প্রসার ঘটানো। পাঠ্য বইয়ের পাতায় বা দৈনন্দিন পড়াশোনায় পাঠকগণ যেসব ঐতিহাসিক বিষয় পড়ে থাকেন সেসব বিষয়ের ঐতিহাসিক নিদর্শন জাদুঘরে চোখের সামনে দেখে পাঠকের মনে বিষয়টি সম্পর্কে আরও কৌতূহল ও আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়।

আরো পড়ুন :  অতীতকে স্মরণ করার ক্ষেত্রে মিথ এবং স্মৃতিকথার ভূমিকা আলোচনা করো | দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস অতীত স্মরণ

(চ) আনন্দদান—জাদুঘরের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল সাধারণ দর্শকদের আনন্দদান করা। দর্শকরা সর্বদা গবেষকের দৃষ্টি নিয়ে জাদুঘরে আসবে এমন কোনো কথা নেই। বরং জাদুঘরে গবেষকের তুলনায় সাধারণ দর্শকদের সংখ্যাই বেশি হয়। এরুপ দর্শকদের কাছে জাদুঘর হল হালকা জ্ঞান সংগ্রহের মাধ্যমে কিছু আনন্দলাভের স্থান।

——————————————–
শ্রেণিবিষয়
দ্বাদশ শ্রেণিসমস্ত বিষয়
একাদশ শ্রেণিসমস্ত বিষয়
দশম শ্রেণিসমস্ত বিষয়
নবম শ্রেণিসমস্ত বিষয়
অষ্টম শ্রেণিসমস্ত বিষয়
সপ্তম শ্রেণিসমস্ত বিষয়
ষষ্ঠ শ্রেণিসমস্ত বিষয়
পঞ্চম শ্রেণিসমস্ত বিষয়

————————————————

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!