Last Updated on December 10, 2022 by বাংলা মাস্টার
মুঘল সাম্রাজ্য ৩ নম্বরের প্রশ্ন সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস | Mughal Empire SAQ 3 Marks History Class VII PDF
প্র—টীকা লেখ—জাবতি ব্যবস্থা বা, জাবতি ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো?
উ—[] জাবতি কথাটি এসেছে ‘জাবত’ কথা থেকে। যার অর্থ নির্ধারণ। জমি জরিপের মাধ্যমে রাজস্ব বা জমির খাজনা নির্ধারণ করার পদ্ধতিকে ‘জাবতি ব্যবস্থা’ বলা হয়। বাদশাহ আকবর এই ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করেন।
[] বিভিন্ন কর্মচারীদের মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলের শস্য উৎপাদন ও আরো নানা তথ্যের মাধ্যমে রাজস্ব নির্ধারণের ব্যবস্থা চালু করেন আকবর। দশ বছরের ভিত্তিতে হতো বলে তাকে বলা হতো ‘দহসালা’ ব্যবস্থা। মন্ত্রী টোডরমল এই ব্যবস্থা প্রচলনে সম্রাটকে সাহায্য করেছিলেন। তবে মুঘল সাম্রাজ্যের সব স্থানে এই জাবতি ব্যবস্থা চালু ছিল না।
প্র—বাংলার বারো ভুঁইয়াদের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দাও। বা, বারো ভুঁইয়া বলতে কী বোঝো? কয়েকজনের নাম লেখ।
উ—[] মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গিরের সময় বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগান অভিজাতরা মুঘলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। এই বিদ্রোহীরা ‘বারো ভুঁইয়া’ নামে পরিচিত ছিল।
[] বারো ভুঁইয়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন—প্রতাপাদিত্য, চাঁদ রায়, কেদার রায়, ইশা খান। মুসা খান, বীর হাম্বীর প্রমুখ।
প্র—খানুয়ার যুদ্ধকে ‘ধর্মীয় যুদ্ধ’ বলা যায় না কেন?
উ—[] ১৫২৭ খ্রি. বাবরের সঙ্গে মেওয়াড়ের রানা সংগ্রাম সিংহের মধ্যে খানুয়ার যুদ্ধ হয়েছিল।
[] এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে বাবর তাঁর সেনাদের বলেছিলেন, এই যুদ্ধ তাদের ধর্মের লড়াই। তারা সকলে ধর্মযোদ্ধা। তবে শুধুমাত্র এই কারণে একটি যুদ্ধকে ‘ধর্মীয় যুদ্ধ’ বলা যায় না। তাছাড়া বিরোধী পক্ষ রাজপুতদের সঙ্গে কয়েকজন মুসলমান শাসকও যোগ দিয়েছিলেন। তাই খানুয়ার যুদ্ধকে ধর্মীয় যুদ্ধ বলা ঠিক নয়।
প্র—টীকা লেখ—আবুল ফজল ও আব্দুল কাদের বদাউনি
উ—মুঘল যুগের ইতিহাসের তথ্য জানতে যেসব ঐতিহাসিকদের রচনা পড়তে হয় তাদের মধ্যে অন্যতম দু’জন ঐতিহাসিক ছিলেন আবুল ফজল এবং আব্দুল কাদির বদাউনি।
আবুল ফজল : মুঘল সম্রাট আকবরের আমলের বিখ্যাত ঐতিহাসিক হলেন আবুল ফজল। তিনি ছিলেন আকবরের প্রিয় পাত্র। তাঁর লেখা অনেক গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো—‘আকবরনামা’। এই গ্রন্থে আকবরের সময়কালের অনেক তথ্য জানা যায়। তবে তিনি শুধু আকবরের প্রশংসাই করেছেন এই বইয়ে।
আবদুল কাদির বদাউনি : আকবরের সময়কার আর একজন ঐতিহাসিক হলেন আবদুল কাদির বদাউনি। তাঁর লেখা গ্রন্থ হলো—মুন্তাখাব উৎ তওয়ারিখ। তাঁর লেখার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি মুঘল যুগের নানা সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন।
প্র—‘পাট্টা’ ও ‘কবুলিয়ত’ বলতে কী বোঝো?
উ—পাট্টা ও কবুলিয়ত প্রচলন করেছিলেন মুঘল শাসক শের শাহ। কৃষি ও রাজস্ব সংক্রান্ত বিষয়ে এই ব্যবস্থা খুব উপযোগী ছিল।
পাট্টা : পাট্টা কৃষককে দেওয়া হত। জমিতে কৃষকের অধিকার, কৃষকের নাম, রাজস্বের পরিমাণ প্রভৃতির উল্লেখ থাকতো পাট্টা নামক দলিলে।
কবুলিয়ত : কৃষককে পাট্টা দেওয়ার বদলে কৃষক রাজস্ব দেওয়ার কথা কবুল করে যে দলিল রাষ্ট্রকে দিত, তা কবুলিয়ত নামে অভিহিত হত।
প্র—দীন-ই-ইলাহি কী?
উ—[] ‘সুলহ-ই-কুল’ মুঘল প্রশাসনিক ব্যবস্থার অন্যতম একটি আদর্শ। এর অর্থ হলো—সকলের প্রতি সহনশীলতা দেখানো এবং সকলের জন্য শান্তির পথ বেছে নেওয়া। এককথায় সকল প্রজার প্রতি ধর্ম নিরপেক্ষ মনোভাব বজায় রাখা। বাদশা আকবর এই আদর্শের ভিত্তিতে একটি ব্যক্তিগত মতাদর্শ গড়ে তুলেছিলেন, যাকে বলা হয় ‘দীন-ই-ইলাহি’।
[] বাদশাহ আকবরের ‘ইবাদত খানা’য় সকল ধর্মের পণ্ডিতেরা উপস্থিত থাকতেন। আকবর সকল ধর্মের ভালো ভালো দিক গ্রহণ করে নতুন মতাদর্শ ‘দীন-ই-ইলাহি’ প্রচলন করেন। রাজা বীরবল এই মতাদর্শ প্রথম গ্রহণ করেন।
প্র—হুমায়ুন আফগানদের কাছে কেন হেরে গিয়েছিল?
উ—বাবরের পরবর্তীতে হুমায়ুন মুঘল শাসক হন। প্রায় সমগ্র সাম্রাজ্যের শাসনভার তিনি নিজের হাতেই রেখেছিলেন। ভাইদের হাতে কিছু কিছু অঞ্চলের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মাত্র। তাই যুদ্ধের সময় তাঁর ভাইয়েরা সাম্রাজ্য রক্ষার তাগিদ অনুভব করেনি। এককথায় আফগানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুঘলরা একজোট হয়ে লড়তে পারেনি বলে মুঘল বাহিনী পরাজিত হয়েছিল।
শ্রেণি | বিষয় |
---|---|
দ্বাদশ শ্রেণি | সমস্ত বিষয় |
একাদশ শ্রেণি | সমস্ত বিষয় |
দশম শ্রেণি | সমস্ত বিষয় |
নবম শ্রেণি | সমস্ত বিষয় |
অষ্টম শ্রেণি | সমস্ত বিষয় |
সপ্তম শ্রেণি | সমস্ত বিষয় |
ষষ্ঠ শ্রেণি | সমস্ত বিষয় |
পঞ্চম শ্রেণি | সমস্ত বিষয় |
————————————————