Last Updated on December 10, 2022 by বাংলা মাস্টার
মুঘল সাম্রাজ্য ২ নম্বরের প্রশ্ন সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস | Mughal Empire SAQ 2 Marks History Class VII PDF
অতীত ও ঐতিহ্য বইয়ের পঞ্চম অধ্যায় হলো–মুঘল সাম্রাজ্য। এই অধ্যায় থেকে গুরুত্বপূর্ণ ২ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো।
প্র—মোগলরা নিজেদের মোগল বলে মনে করত না কেন?
উ—মোগলরা প্রকৃতপক্ষে মোঙ্গল এবং তুর্কি উভয়েরই বংশধর। তবে মুঘল শাসকরা নিজেদের তুর্কি নেতা তৈমুরের বংশধর হিসেবে গর্ববোধ করত। নিজেদের তারা ‘তৈমুরীয়’ ভাবত। এইকারণে মুঘলরা নিজেদের মুঘল বলে মনে করত না।
প্র—ঔরঙ্গজেবের আমলে দুজন রাজপুত নেতার নাম লেখ।
উ—ঔরঙ্গজেবের আমলে অন্যতম দুজন রাজপুত ছিলেন—রাজা জয়সিংহ এবং রাণা যশোবন্ত সিংহ।
প্র—মোগল শাসন ব্যবস্থায় সুবা প্রশাসনের পরিচয় দাও।
উ—[] ‘সুবা’ কথার অর্থ প্রদেশ।
[] বাদশা আকবর তাঁর সাম্রাজ্যকে কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করেছিলেন। সেই প্রদেশগুলিকে বলা হতো সুবা। সুবাগুলি বিভক্ত ছিল কয়েকটি সরকারে এবং সরকারগুলি ভাগ করা হত পরগণাতে। শাসন পরিচালনায় এই বিভাজন পদ্ধতি খুব কার্যকরী হয়েছিল।
প্র—ঔরঙ্গজেবের সময় থেকেই মোগল রাজশক্তির দুর্বলতার কারণগুলি কী ছিল?
উ—ঔরঙ্গজেবের সময় মোগল রাজশক্তির দুর্বলতার কয়েকটি কারণ ছিল, যথা—
(১) অভিজাতদের মধ্যে রেষারেষি শুরু হয়েছিল।
(২) জাঠ ও সৎনামি কৃষকেরা বিদ্রোহ শুরু করেছিল।
(৩) দাক্ষিণাত্যে চলতে থাকা একটানা যুদ্ধ।
(৪) মারাঠাদের সঙ্গে সংঘাত।
প্র—পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধের গুরুত্ব কী?
উ—[] ১৫৫৬ সালে দ্বিতীয় পানিপতের যুদ্ধ হয়েছিল। আকবর ও আফগানদের মধ্যে এই যুদ্ধ হয়েছিল।
[] আকবর এই যুদ্ধে জয়ী হন। এই যুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে ভারতে মুঘল শাসন স্থায়ীরূপে প্রতিষ্ঠা পায়। তাছাড়া আফগানদের শাসন ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন চিরতরে মুছে যায়।
প্র—মনসবদারি প্রথার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখ।
উ—বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
(১) এই প্রথায় প্রশাসনিক পদগুলিকে বলা হত মনসব।
(২) যারা মনসবদার হতেন, তাদের কর্তব্য ছিল সেনাদের প্রস্তুত রাখা ও যুদ্ধের সময় সেনা জোগান দেওয়া।
(৩) মনসবদারদের বিভিন্ন স্তর ছিল।
(৪) মনসবদাররা কেউ পেতেন নগদ বেতন কেউ পেতেন জায়গির।
প্র—১৫৩৯ খ্রি. কাদের মধ্যে, কোন যুদ্ধ হয়েছিল?
উ—[] ১৫৩৯ খ্রি. হুমায়ুন ও শের খানের (যিনি শের শাহ) মধ্যে চৌসার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।
[] এই যুদ্ধে হুমায়ুন পরাজিত হয়েছিলেন।
প্র—শেরশাহ কীভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করেছিল?
উ—যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য শের শাহ সড়কপথের উন্নতি করেন। ‘সড়ক-ই-আজম’ নামের সড়কপথ সংস্কার করেন। তাছাড়া দ্রুত যোগাযোগের জন্যে ঘোড়ার সাহায্যে ডাক-ব্যবস্থার সূচনা করেন।
প্র—‘সুলহ-ই-কুল’ কথার অর্থ কী?
উ—[] ‘সুলহ-ই-কুল’ মুঘল প্রশাসনিক ব্যবস্থার অন্যতম একটি আদর্শ।
[] এই কথার অর্থ হলো—সকলের প্রতি সহনশীলতা দেখানো এবং সকলের জন্য শান্তির পথ বেছে নেওয়া। এককথায় সকল প্রজার প্রতি ধর্ম নিরপেক্ষ মনোভাব বজায় রাখা।
প্র—আকবরের রাজসভার ‘নবরত্ন’ কারা?
উ—আকবরের দরবারের বিশিষ্ট নয় জনকে ‘নবরত্ন’ বলা হত। এঁরা হলেন—আবুল ফজল, বীরবল, মানসিংহ, আব্দুর রহিম খান, ফৈজি, তানসেন, টোডরমল, মোল্লা দো-পিঁয়াজা এবং ফকির আজিউদ্দিন।
শ্রেণি | বিষয় |
---|---|
দ্বাদশ শ্রেণি | সমস্ত বিষয় |
একাদশ শ্রেণি | সমস্ত বিষয় |
দশম শ্রেণি | সমস্ত বিষয় |
নবম শ্রেণি | সমস্ত বিষয় |
অষ্টম শ্রেণি | সমস্ত বিষয় |
সপ্তম শ্রেণি | সমস্ত বিষয় |
ষষ্ঠ শ্রেণি | সমস্ত বিষয় |
পঞ্চম শ্রেণি | সমস্ত বিষয় |
————————————————